কাশ্মীর ভ্রমণের টুকিটাকি সকল তথ্য
ভূ-স্বর্গ নামে পরিচিত কাশ্মীর। দর্শনীয় স্থান, ভ্রমণ পরিকল্পনা, সেখানে যাওয়ার উপায়, হোটেল খোঁজা, খাওয়ার জায়গা, ভ্রমণ খরচ সহ কাশ্মীর সম্পর্কে আরও পড়ুন...
কাশ্মীরকে বলা হয় ভূস্বর্গ, কেন বলা হয়? যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনি নিজ চোখে কাশ্মীরের সৌন্দর্য্য দেখবেন ততক্ষণ পর্যন্ত বুঝতে পারবেন না কেন কাশ্মীরকে ভূস্বর্গে ভুষিত করেছিলো রাজা বাদশা কবি সাহিত্যিক আর ভ্রমণ পিপাসু মানুষেরা। দিগন্তজোড়া উঁচু উঁচু পাহাড়ের বুকে সাদা শুভ্র বরফের খেলা যেন কাশ্মীর উপত্যকাটিকে করে তুলেছে ভূর্স্বগে।
কীভাবে যাবেন
১) ঢাকা থেকে বিমানেও কাশ্মীর যাওয়া যায়, তবে খরচ বেশী পড়বে। ঢাকা থেকে দিল্লি সরাসরি ফ্লাইট – ভাড়া ১৫০০০ টাকা জন প্রতি। এরপর দিল্লি থেকে শ্রীনগর সরাসরি ফ্লাইট – ভাড়া ৬০০০ টাকা জন প্রতি। সময় ভেদে টিকিটের দাম বাড়ে কমে।
২) কম খরচে সবচেয়ে ভাল রুট হল বেনাপোল দিয়ে বর্ডার পার হয়ে কলকাতা থেকে প্লেনে বা ট্রেনে যাওয়া। এতে কলকাতা ফ্রি দেখা হয়ে যাবে।
৩) কাশ্মীর গেলে আপনাকে দিল্লী হয়ে যেতেই হবে। তাই প্রথমে ট্রেনে দিল্লী, তারপর প্লেনে কাশ্মীর অথবা, কলকাতা বা শিলিগুড়ি থেকে সরাসরি কাশ্মীর যাওয়া যায় ট্রেনে করে। এখানে কাশ্মীর বলতে জম্মু তাওয়াই নাগাদ, এই জম্মু থেকে শ্রীনগর আরও প্রায় ২৪৮ কিমি, যা পাহাড়ি রাস্তা বেয়ে গেলে প্রায় ১০/১২ ঘন্টা লাগে ট্যাক্সিতে।
কমদামে ফ্লাইট বুকিং করতে যোগাযোগ করতে পারেন ট্রিপ বিগেন এ, তাদের টিম আপনাকে সবচেয়ে কম দামে টিকেট পেতে সহযোগিতা করবে।
যোগাযোগ করতে পারেনঃ +8809638077077, +8801709377244, +8801709377252
কোথায় থাকবেন
সাধারণ মানের ব্যাচেলার থাকার জন্য হোটেল ৫০০-৬০০ টাকার মাঝে পাবেন। আর ফ্যামিলির স্ট্যান্ডার্ট হোটেল ১৫০০-২০০০ রুপির ভিতরে পাবেন। এর চেয়ে দামী দামী হোটেল পাবেন। আপনার বাজেট ও পছন্দ অনুযায়ী নিয়ে নিন হোটেল।
কোথায় ঘুরবেন
কাশ্মীর পুরোটাই ভ্রমণপিপাসুদের জন্য স্বর্গ। তারপরও ভিন্ন ভিন্ন লোকেশনে বেশ কিছু টুরিস্ট স্পটের তালিকা দিলাম ।
১। শ্রীনগরেঃ মোঘল গার্ডেন, টিউলিপ গার্ডেন, ডাল লেক ও নাগিন লেকে শিকারা রাইড, হযরত বাল মসজিদ।
২। গুলমার্গেঃ গন্ডোলা (ক্যাবল কার), গলফ কোর্স, বাবা ঋষির মাজার,আফারওয়াত পিক, সেন্ট ম্যারী চার্চ।
৩। পেহেলগামঃ লিদার নদী, বেতাব ভ্যালী, আরু ভ্যালী, চন্দন বাড়ী এবং ঘোড়ায় ট্রেকিং করে পেহেলগাম ভিউপয়েন্ট, মিনি সুইজারল্যান্ড খ্যাত বাইসারান, ধাবিয়ান, কাশ্মীর ভ্যালী ভিউপয়েন্ট, কানিমার্গ, ওয়াটারফল, তুলিয়ান ভ্যালী ইত্যাদি। পায়ে হেঁটেও যাওয়া যায়। তবে বৃষ্টি হলে রাস্তা অনেক পিচ্ছিল থাকে।
৪। সোনামার্গঃ প্রধানত থাজিওয়াস হিমবাহ। এছাড়া সিন্ধ নদী, Waterfall, বাজরাঙ্গী ভাইজান ও রাম তেরে গঙ্গা মেরে ছবির স্যুটিং স্পট।
কী খাবেন
কাশ্মীর গিয়ে তাজা ফলের স্বাদ নিতে মিস করবেন না। কাশ্মীরের মাটন বিরিয়ানিও বিখ্যাত। ওজওয়ান (বিভিন্ন খাবারের থালা), কাশ্মীরি কাবাব, মাটন রোগান জোশ, মাটন, পনির চমন, আলুর দম, টক বেগুন, নাদরু ইয়াখনি এখানকার বিখ্যাত। আর রফিক ক্যাফেটেরিয়ার কাবাব আর কুলফির স্বাদও মুখে জল আনার মত।
ভ্রমণ টিপস
- শীতকালে কাশ্মীর যাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই শীতের প্রস্তুতি নিয়ে যেতে হবে।
- কাশ্মীরে ৫-৬ দিনের সময় নিয়ে গেলে কাশ্মীর ট্রিপটা সার্থক হবে।
- কেনাকাটা করার সময় দামাদামি করে জিনিস কিনবেন।
- ১/২ মাস আগে থেকে টিকেট ও হোটেল বুকিং করে রাখা ভাল (কমদামে পাওয়া যাই)
What's Your Reaction?